ঢাকা ০১:০৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ মে ২০২৪, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হাওরবাসীর আনন্দ মিশে আছে হাওরের জলে

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৮:৫১:০৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭
  • ৪৩৬ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ  এক ফসলী বোরো ধান অকাল বন্যায় হারানো হাওর পাড়ের লাখ লাখ কৃষক পরিবারে নেই উৎসাহ-উদ্দিপনা। আছে নিজের ও সন্তানদের কাপড় কিনে দিতে না পারায় হতাশা,বুকভড়া র্দীঘশ্বাস ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক পরিবারে মাঝে।  হাওরবাসীর কারো পকেটে নেই নগদ টাকা। ফলে হাওরপাড়ের মানুষ গুলোর সকল আনন্দ চোখের জল হয়ে যেন হাওরের পানিতেই মিশে একাকার হচ্ছে। অথছ এই সময় নতুন কাপড় কেনা কেউবা নতুন কাপড় বানানো, জন্য হাওরপাড়ের বাজার গুলোতে হাজার হাজার মানুষ জনের ভীড় থাকত প্রত্যেকটি  বাড়িতেই সাজ সাজ রব থাকত সেখানে কেবলেই শুন্যতা বিরাজ করছে।  যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন দ্বীপ সাদৃশ্য গ্রাম গুলোতে টাকার অভাবে অনেকেই বাজার-সদাই করতেও পারছে না। ফসলহানীর পর থেকেই নিত্য প্রয়োজনীয় দব্য মূল্যের দাম আকাশ ছোঁয়া।

জেলার হাওরবাসী বর্ষার এই ৬মাস বেকার থাকে হাওরবাসী। এই সময়ে হাওরে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করা মানুষ গুলো হাওরে মাছ না পাওয়ায় অসহায় বেকার সময় পার করছে। জেলার বিভিন্ন হাওরপাড়ের ক্ষতিগ্রস্থ লোকজনের সাথে কথা বলে জানাযায়-এবার বছরের শুরুতেই চৈত্র মাসে জেলার  উপজেলার হাওরের বাঁধ ভেঙ্গে জীবন বাচাঁর একমাত্র হাতিয়ার জেলার ৯০শতাংশ বোরো ধান পানিতে তুলয়ে যাওয়ায় লাখ লাখ কৃষক পরিবারের মাঝে এখন আনন্দ নেই। আছে বুকভরা দ্বীর্ঘশ্বাস,আতর্œনাধ আর আহাজারি। এর রেশ কাটতে না কাটতেই সম্প্রতি বন্যায় আরো চরম ক্ষতির শিকার হয়েছে হাওরবাসী এ যেন মরার উপর খাড়ার গাঁ।

সরকারী ফেয়ার প্রাইজ,ওএমএস চাল,টিসিবির পন্য বন্ধ,ভিজিএফ কার্ডে অনিয়মের কারনে সঠিক ভাবে পায় নি সহায়তা হাওরবাসী। সরকারী সহযোগীতা যা ছিল তাও প্রয়োজনের তুলনায় কম। এখন নেই ঘরে নগদ টাকা ও খাবার চাল। এ অবস্থায় নিজের ও পরিবারের জন্য দু-মুটো খাবার জোগাড় করাই দায় হয়ে পরেছে। বেশির ভাগ হাওরবাসী অর্ধহারে,অনাহারে,অভাব-অনটন কে সঙ্গী করে খেয়ে না খেয়ে অতিকষ্টে সামনে ঈদের সকল আনন্দ ভুলে এখন দিনপার করছে ত্রানের আশায়। বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা ও সরকারের সু-নজর না থাকায় এই মানব সম্পদ এখন সমাজের ভোজা হচ্ছে দিন দিন। যার জন্যে এই অনুন্নত অবহেলিত হাওরবাসীর কণ্ঠে কেবলেই শুধু বাচাঁর আকুতি।

মিয়াভাই জানান,কি কইমু ভাই এবার বোরো ধান হারিয়ে এক বারেই নিঃশ্ব হয়ে গেছি এখনত জান যায় খাইমু কই থ্যাইকা। এই বার ত বৈশাইকা গেল আর ক দি আগে আগুন মাইয়া ধান ও গেল। আইলেও কি হইব হাতে টাকা নাই পোলা মাইয়ারে কি ভাবে নতুন কাপড় কিনা দিমু আর জীবন চালাইমু বুজতা পারতাছিনা।  শুনি সরকার নাকি হাওর উন্নয়নের লাগি সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা,মিল-কলখারকানা,বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ করে আমরার ব্যাপারে উদাসীন কেরে। বোরো ফসলহানীর পর কোন আনন্দই নেই হাওরপাড়ে  আর এখন থাকব কি কইরা। বর্ষায় হাওরে মাছ ধইরাই জীবন বাচঁত কিন্তু হাওরের বোরো ধান ডুবার পর থেইকাই মাছ নাই। সরকারী ভাবে মাছের পোনা হাওরে ছাড়ার কথা ছাড়ছে দায়সারা ভাবে নাম মাত্র।

 

 

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

হাওরবাসীর আনন্দ মিশে আছে হাওরের জলে

আপডেট টাইম : ০৮:৫১:০৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭

হাওর বার্তা ডেস্কঃ  এক ফসলী বোরো ধান অকাল বন্যায় হারানো হাওর পাড়ের লাখ লাখ কৃষক পরিবারে নেই উৎসাহ-উদ্দিপনা। আছে নিজের ও সন্তানদের কাপড় কিনে দিতে না পারায় হতাশা,বুকভড়া র্দীঘশ্বাস ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক পরিবারে মাঝে।  হাওরবাসীর কারো পকেটে নেই নগদ টাকা। ফলে হাওরপাড়ের মানুষ গুলোর সকল আনন্দ চোখের জল হয়ে যেন হাওরের পানিতেই মিশে একাকার হচ্ছে। অথছ এই সময় নতুন কাপড় কেনা কেউবা নতুন কাপড় বানানো, জন্য হাওরপাড়ের বাজার গুলোতে হাজার হাজার মানুষ জনের ভীড় থাকত প্রত্যেকটি  বাড়িতেই সাজ সাজ রব থাকত সেখানে কেবলেই শুন্যতা বিরাজ করছে।  যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন দ্বীপ সাদৃশ্য গ্রাম গুলোতে টাকার অভাবে অনেকেই বাজার-সদাই করতেও পারছে না। ফসলহানীর পর থেকেই নিত্য প্রয়োজনীয় দব্য মূল্যের দাম আকাশ ছোঁয়া।

জেলার হাওরবাসী বর্ষার এই ৬মাস বেকার থাকে হাওরবাসী। এই সময়ে হাওরে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করা মানুষ গুলো হাওরে মাছ না পাওয়ায় অসহায় বেকার সময় পার করছে। জেলার বিভিন্ন হাওরপাড়ের ক্ষতিগ্রস্থ লোকজনের সাথে কথা বলে জানাযায়-এবার বছরের শুরুতেই চৈত্র মাসে জেলার  উপজেলার হাওরের বাঁধ ভেঙ্গে জীবন বাচাঁর একমাত্র হাতিয়ার জেলার ৯০শতাংশ বোরো ধান পানিতে তুলয়ে যাওয়ায় লাখ লাখ কৃষক পরিবারের মাঝে এখন আনন্দ নেই। আছে বুকভরা দ্বীর্ঘশ্বাস,আতর্œনাধ আর আহাজারি। এর রেশ কাটতে না কাটতেই সম্প্রতি বন্যায় আরো চরম ক্ষতির শিকার হয়েছে হাওরবাসী এ যেন মরার উপর খাড়ার গাঁ।

সরকারী ফেয়ার প্রাইজ,ওএমএস চাল,টিসিবির পন্য বন্ধ,ভিজিএফ কার্ডে অনিয়মের কারনে সঠিক ভাবে পায় নি সহায়তা হাওরবাসী। সরকারী সহযোগীতা যা ছিল তাও প্রয়োজনের তুলনায় কম। এখন নেই ঘরে নগদ টাকা ও খাবার চাল। এ অবস্থায় নিজের ও পরিবারের জন্য দু-মুটো খাবার জোগাড় করাই দায় হয়ে পরেছে। বেশির ভাগ হাওরবাসী অর্ধহারে,অনাহারে,অভাব-অনটন কে সঙ্গী করে খেয়ে না খেয়ে অতিকষ্টে সামনে ঈদের সকল আনন্দ ভুলে এখন দিনপার করছে ত্রানের আশায়। বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা ও সরকারের সু-নজর না থাকায় এই মানব সম্পদ এখন সমাজের ভোজা হচ্ছে দিন দিন। যার জন্যে এই অনুন্নত অবহেলিত হাওরবাসীর কণ্ঠে কেবলেই শুধু বাচাঁর আকুতি।

মিয়াভাই জানান,কি কইমু ভাই এবার বোরো ধান হারিয়ে এক বারেই নিঃশ্ব হয়ে গেছি এখনত জান যায় খাইমু কই থ্যাইকা। এই বার ত বৈশাইকা গেল আর ক দি আগে আগুন মাইয়া ধান ও গেল। আইলেও কি হইব হাতে টাকা নাই পোলা মাইয়ারে কি ভাবে নতুন কাপড় কিনা দিমু আর জীবন চালাইমু বুজতা পারতাছিনা।  শুনি সরকার নাকি হাওর উন্নয়নের লাগি সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা,মিল-কলখারকানা,বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ করে আমরার ব্যাপারে উদাসীন কেরে। বোরো ফসলহানীর পর কোন আনন্দই নেই হাওরপাড়ে  আর এখন থাকব কি কইরা। বর্ষায় হাওরে মাছ ধইরাই জীবন বাচঁত কিন্তু হাওরের বোরো ধান ডুবার পর থেইকাই মাছ নাই। সরকারী ভাবে মাছের পোনা হাওরে ছাড়ার কথা ছাড়ছে দায়সারা ভাবে নাম মাত্র।